ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্য সরকার একের পর এক নতুন কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে। এই উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কারণে, তিনি রাজ্যের মহিলাদের আরও স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্প চালু করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিধবা ভাতা, লক্ষীরভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপসী। এইগুলি শুধুমাত্র রাজ্যে নয়, সারা দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে লক্ষীরভান্ডার প্রকল্পের সাহায্যে নারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে।
বর্তমানে, লক্ষীরভান্ডার স্কিমের অধীনে মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা পান, যেখানে সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের ১২০০ টাকা দেওয়া হয়। তিনগুন বাড়ানো হলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০০০ টাকা, এই খবর জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
যদিও এবিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি, আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক ও বিরোধী দল উভয়ই তীব্র রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আয়কর মামলা এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারি সহ রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে শাসক দল উল্লেখযোগ্য চাপে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এর আলোকে নিজেদের ভাবমূর্তি উন্নয়নে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে ক্ষমতাসীন দল। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা হতে শুরু করেছে৷
জনসাধারণের মন জয় করতে, রাজ্য সরকার নতুন কৌশল গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে সরকার আবারও লক্ষীর ভান্ডার ভাতা বাড়াতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। যদিও বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে তার মতামত দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভান্ডার ভাতা বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করবে। উপরন্তু, তিনি দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাদের বাড়ি, বিদ্যুৎ এবং শৌচাগার করা হবে এবং বিজেপি সমস্ত মৌলিক চাহিদা পূরণ করবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।