ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন সবকিছু ! মাসিক পেনশন ও দুর্ঘটনা বীমার সুবিধা পান কার্ডের মাধ্যমে

ভারতের অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই অভিনব প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকরা পাচ্ছেন মাসিক পেনশন, দুর্ঘটনা বীমা এবং আরও নানা সুবিধা। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি শ্রমিক এই প্রকল্পে নিবন্ধিত হয়েছেন। চলুন জেনে নিই, কীভাবে আপনি এই সুবিধা পেতে পারেন এবং কেন এটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ই-শ্রম কার্ড কী? কেন এটি প্রয়োজন?

ই-শ্রম কার্ড হল একটি জাতীয় ডিজিটাল ডেটাবেস, যা শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত। এটি মূলত দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য তৈরি, যাদের আয়ের নির্দিষ্ট উৎস নেই বা যারা ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

• মাসিক পেনশন: ৬০ বছর বয়সে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা
• দুর্ঘটনা বীমা: মৃত্যু বা আংশিক অঙ্গহানির ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণ।
• সামাজিক সুরক্ষা: সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পে সহজ।

আরও পড়ুন:- কৃষিকে উৎসাহিত করার জন্য ২০২৫ সালের বাজেটে কৃষকদের জন্য ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

ই-শ্রম কার্ডে কী কী সুবিধা পাবেন?

১. মাসিক পেনশন

• ৬০ বছর বয়সে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন।

২. দুর্ঘটনা বীমা

• দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পরিবার পাবে ২ লক্ষ টাকা।
• আংশিক অঙ্গহানির জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ।

৩. বাড়ি নির্মাণে সহায়তা

• গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা।

৪. গর্ভবতী মায়েদের সাহায্য

• গর্ভাবস্থায় কাজ করতে অক্ষম নারীরা আর্থিক সহায়তা পাবেন।

৫. শিক্ষায় সহায়তা

• কার্ডধারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি বা আর্থিক সাহায্য।

ই-শ্রম কার্ড আবেদনের জন্য যোগ্যতা

• বয়সসীমা: ১৬ থেকে ৫৯ বছর।
• আয়ের উৎস: স্থায়ী আয়ের উৎস না থাকা।
• আয়করদাতা: আয়করদাতারা এই সুবিধা পাবেন না।
• EPFO/ESIC সদস্য: EPFO বা ESIC-এর সদস্যদের জন্য এই প্রকল্প প্রযোজ্য নয়।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• আধার কার্ড (Aadhaar Card)
• প্যান কার্ড (PAN Card)
• পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
• আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন পদ্ধতি

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করা খুব সহজ। বাড়িতে বসেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন:

১. অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান CLICK HERE
২. New Registration অপশনে ক্লিক করুন।
৩. আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর এবং ওটিপি দিয়ে যাচাই করুন।
৪. ব্যক্তিগত এবং ব্যাংকের বিবরণ দিন।
৫. আবেদন জমা দেওয়ার আগে চেক করুন।